উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগে অনুষ্ঠিত হলো
ধারাবাহিক সেমিনার ‘মিথষ্ক্রিয়া’

20
September
2023

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আগ্রহী করার লক্ষ্যে, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ রিসার্চ উইং  ‘মিথষ্ক্রিয়া’র ৪র্থ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানের শিরোনাম ছিল ফোর্থ সিনেমা : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ  ।

ফোর্থ সিনেমা : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ  অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রিসার্চ উইং এর ইনচার্য ফারাহ বিনতে বশির এবং অনুষ্ঠানের আলোচক ছিলেন বাংলা বিভাগের প্রভাষক হাসান অমিত। মূলত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠেীর জীবনের যে বয়ান বাঙালি নির্মাতাদের ক্যামেরার চোখে ধরা পড়েছে, জনাব অমিত সেই দৃশ্যায়নের সীমাবদ্ধতা তুলে ধরেন। তাঁর পর্যবেক্ষণে এই সীমাবদ্ধতাই ’ফোর্থ সিনেমা’ নামক নতুন ধারার চলচ্চিত্রের প্রয়োজনীয়তা তৈরী করে। পর্যায়ক্রমে ’ফোর্থ সিনেমা’-র কলাকৌশল ও দৃষ্টিভঙ্গির স্বকীয়তা বিষয়ে এই প্রতিভাবান আলোচক আলোচনা করেন। আলোচক প্রথম তিনটি ধারার সিনেমা নিয়েও আলোচনা করেন। প্রথম সিনেমা বলতে তিনি মূলত রাষ্ট্রের মূলধারার বাণিজ্যিক সিনেমাকে বুঝিয়েছেন। দ্বিতীয় ধারা বলতে আর্ট ফিল্মকে এবং তৃতীয় ধারা মূলত রাজনৈতিক ধারার সিনেমাকে চিহ্নিত করেছেন। বক্তা আলোচনায় ফোর্থ সিনেমার কিছু বৈশিষ্ট্যও উল্লেখ করেন যেমন,

১। এই ধারার সিনেমার বিষয়বস্তু হবে আদিবাসী বা নৃগোষ্ঠীর জনসংস্কৃতি ও তাদের জীবন-সংগ্রাম

২। চলচিত্র পরিচালনা এবং অভিনয় করবেন আদিবাসী বা নৃগোষ্ঠীর মানুষ

৩। এই ধারার সিনেমায় নৃগোষ্ঠীর নিজস্ব বক্তব্য প্রধান হয়ে উঠবে।

বক্তার আলোচনা আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠে তিনি যখন কিছূ সিনেমার উপস্থাপন কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। উদাহরণ স্বরূপ তিনি যে সিনেমাগুলো আলোচনা করেন তা হলো, মেঘের অনেক রং (১৯৭৬), আধিয়ার (২০০৩), নাচোলের রানী (২০০৬) ইত্যাদি। অর্থাৎ দেশের অন্যান্য মানুষের মধ্যে নৃগোষ্ঠীর নিজস্ব বক্তব্য উপস্থাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশে যে সকল নৃগোষ্ঠী চলচ্চিত্র নির্মান করছে, সেগুলোই মূলত ফোর্থ সিনেমার বৈশিষ্ট্য ধারণ করে বলে বক্তার অভিমত। পরবর্তীতে একটি দীর্ঘ প্রশ্নোত্তর পর্বে অমিত হাসান শ্রোতাদের সংশয় দূর ও কৌতুহল মেটানোর মাধ্যমে আলোচনাকে সংযোগধর্মী করে তোলেন। এই পর্বের মূল আকর্ষণ ছিল বাংলা বিভাগের সভাপতি জনাব সামজীর আহমেদের বিশ্লেষণাত্মক পর্যালোচনা।


Loading...